আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করার নিয়ম | How to apply for Import/ Export Registration Certificate (IRC/ERC) in Bangladesh

Header Ads Widget

Latest

6/recent/ticker-posts

আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করার নিয়ম | How to apply for Import/ Export Registration Certificate (IRC/ERC) in Bangladesh

 

চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের এই যূগে মুক্ত-বাজার অর্থনীতি, গ্লোবালাইজেশন এবং একই সাথে তথ্য-প্রযুক্তির ক্রমাগত উৎকর্ষের ফলে ব্যবসা-বানিজ্যকে কোন দেশ বা মহাদেশের সীমানায় আটকে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে, অভ্যন্তরীণ গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বেচাকেনায় তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি কিছু কিছু পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আবার বাংলাদেশেও বৈদেশিক পণ্যের চাহিদা ও ঘাটতি থাকায় আমদানি-রপ্তানি খাতে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

কোন ব্যবসায়ী বা শিল্পোউদ্যোগতা বিদেশ থেকে দেশে কোন কাঁচামাল বা পন্য আমদানি করতে চাইলে আবার বাংলাদেশে উৎপাদিত কোন পন্য বিদেশের বাজারে রপ্তানী করতে চাইলে তার ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট লাইসেন্সে থাকা বাধ্যতামূলক।

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আজকের এই আর্টকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট লাইসেন্সের বা সংক্ষেপে IRC and ERC আবেদন কি ভাবে করতে হয়, সে সম্পর্কে।

এই লাইসেন্স প্রদান এবং নবায়ন এবং এ সংক্রান্ত রেগুলেটরি অথরিটি হলঃ

Office of the Chief Controller of Imports & Exports (CCI&E)

প্রথমে জেনে নিই কে বা কারা এই লাইসেন্স পেতে পারে-

কোন প্রোপ্রাইটরশিপ কনসার্ন বা একমালিকানাধিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

কোন পার্টনারশিপ ফার্ম

বা কোন লিমিটেড কোম্পানি

আমদানী এবং রপ্তানী লাইসেন্স দুইটা কিন্ত আলাদা লাইসেন্স এবং আলাদা ভাবে নিতে হয়, তবে প্রসেস একই রকম।

আমদানী বা রপ্তানী লাইসেন্স আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস দরকার হয়ঃ

1)      ট্রেড লাইসেন্স দরকার হবে;

2)     সংশ্লিষ্ট চেম্বার অফ কমার্স অথবা সংশ্লিষ্ট কোন স্বীকৃত ট্রেড এসোসিয়েশনের মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট দরকার হবে;

[যারা নতুন তাদের জন্য বলছি, চেম্বার অফ কমার্স হল ব্যবসায়ীদের সংগঠন, প্রত্যেক জেলায় একটি করে চেম্বার অফ কমার্স থাকে, আপনি নির্দৃষ্ট একটা ফিস দিয়ে সেখানকার সদস্য হতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন স্বীকৃত ট্রেড এসোসিয়েশন রয়েছে যেমন- গার্মেন্ট মালিক ও রম্পানী-কারকদের সংগঠন বিজিএমইএ]

3)    মালিকের টিআইএন সার্টিফিকেট;

4)     মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র;

5)    মালিকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি;

6)     ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট;

7)    ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন সার্ফিকেট এর কপি;

আপনার প্রতিষ্ঠান যদি পার্টনারশিপ ফার্ম হয়, তাহলে পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্টের কপি;

আপনার প্রতিষ্ঠান যদি লিমিটেড কোম্পানি হয় তাহলে আরজেএসসি কর্তৃক অনুমোদিত মেমোরান্ডাম অফ এসোসিয়েশন, আর্টিকেলস্‌ অফ এসোসিয়েশন এবং সার্টিফিকেটস্‌ অফ ইন-করপরেশনের কপি।

কোম্পানীর পরিচালকদের নাম,ঠিকানার, কোম্পানীর নামে ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন সার্ফিকেট ইত্যাদি।

(আপনারা যারা একটা কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করতে চান, তারা চাইলে এখানে ক্লিক করে বাংলাদেশে একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী গঠনের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।)

এবং সরকার নির্ধারিত কোডে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি এর টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে অথবা সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় জমা প্রদানের পর জমার রশিদ।

আই আর সি এবং ই আর সি লাইসেন্সের জন্য কত টাকা ফিস দিতে হয়-

ফিস এর তালিকা আপনারা স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন, এই ফিস বিভিন্ন সময়ে আপডেট হয়ে কম-বেশি হতে পারে এবং এর সাথে ১৫% ভ্যাট ও অন্যান্ন শুল্ক যুক্ত হতে পারে, তাই সঠিক ফিস এর পরিমান জানার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ভিজিট করুন বা অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

সকল প্রকার কাগজপত্র ঠিক থাকলে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লাইসেন্স পাওয়া যায়। লাইসেন্স এর ছবি নিচে দেখতে পাচ্ছেন।

 
আমাদের মাধ্যমে লাইসেন্স করতে চাইলে আমাদের ইমেইল করতে পারেন ( contact.sublimelegal@gmail.com) Facebook পেজে মেসেজ করতে পারেন (https://web.facebook.com/sublimelegalbd), ধন্যবাদ।

তো বন্ধুরা আজকের লেখাটি এ পর্যন্তই, এই রকম তথ্য-বহুল বিভিন্ন আর্টকেল  সবার আগে আপনার ইনবক্সে পেতে আমাদের নিউজ-লেটারে সাবস্ক্রাই করে রাখতে পারেন। ইনশাল্লাহ দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন ব্লগ পোস্টে নতুন কোন বিষয় নিয়ে, সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

 

Post a Comment

0 Comments