আসসালামু-আলাইকুম বন্ধুরা, আশাকরি সবাই ভালো আছেন, অনেকদিন পর একটা নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আমি পূর্ববর্তী একটি আর্টিকেলে আলোচনা করেছিলাম ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স আবেদনের বিস্তারিত প্রক্রিয়া সম্পর্কে, তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই পোস্টে আমরা হজ্জ্ব ও ওমরা লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানব। যারা আগের আর্টিকেলটি এখনো দেখেন নাই, তারা এখানে ক্লিক করে লেখাটি পড়ে আসতে পারেন।
বাংলাদেশে হজ্জ্ব ও ওমরা সুষ্ঠু ভাবে পালন
নিশ্চিতকরন এবং এজেন্সি সমূহের নিবন্ধন ও ব্যবসস্থাপনার জন্য হজ্জ্ব ও ওমরা ব্যবস্থাপনা
আইন ২০২১ প্রণয়ন ও পাশ করা হয়েছে।
হজ্জ্ব এজেন্সির লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হিসাবে আপনার অবশ্যই নূন্যতম ৪ বছর ট্ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা এবং ওমরা এজেন্সির লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নূন্যতম ৩ বছর ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
অর্থ্যাৎ আগে থেকেই আপনার নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা না থাকলে হজ্জ্ব বা ওমরা এজেন্সির লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
কোন ব্যক্তি হজ্জ্ব বা ওমরা এজেন্সির লাইসেন্স এর আবেদন করার জন্য তার কিছু যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন, যেগুলো হলঃ
- আবেদনকারিকে নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির সত্যাধিকারী, পরিচালক বা অংশীদার হতে হবে।
- আবেদনকারিকে বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বি হতে হবে।
- প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে।
- সুস্থ মস্কিকের হতে হবে।
- আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হওয়া যাবে না।
- রাষ্ট্রদ্রোহীতা বা নৈতিক সস্খলন জনিত কোন অপরাধে আদালত কর্তৃক দন্ডিত হওয়া যাবে না।
হজ্জ্ব বা ওমরা এজেন্সির লাইসেন্স আবেদনের
জন্য নির্ধারিত ফর্মে, নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বা বর্তমানে ধর্ম-মন্ত্রনালয় বরাবরে আবেদন
করতে হয়। আবেদন করার পর কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই-বাচাই করে সঠিক মনে করলে আবেদনকারিকে
নির্ধারিত পরিমান জামানতের টাকা জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে।
আবেদনকারীকে বা তার এজেন্সির পক্ষে সরকার নির্ধারিত পদ্ধতিতে হজ্জ্ব যাত্রী বা ওমরা যাত্রীদের কে সেবা প্রদানের ঘোষণা প্রদান করিতে হইবে।
একজন ট্রাভেল এজেন্সির মালিক কেবল মাত্র একটি হজ্জ্ব ও একটি ওমরা এজেন্সির নিবন্ধন প্রাপ্তির অধিকারী হইবেন।
আবেদনের নিয়ম-
আপনারা হজ্জ্ব ও ওমরা এজেন্সি লাইসেন্স এর আবেদন ফর্ম স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন
প্রতিষ্ঠানের নাম, মালিকের নাম, প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা,পরিচালনা কারির নাম, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সনদ, সিভিল এভিয়েশন সনদ, অফিস ভাড়ার চুক্তি পত্র বা ভবনের মালিকানা সংক্রান্ত কাগজ-পত্র, এন আই ডি নম্বর সহ এজেন্সির কর্ম-কর্তাদের তালিকা,অফিসের আসবাব পত্রের বিবরণ, এজেন্সির ফোন নম্বর, ইমেইল এড্রেস, ওয়েব এড্রেস, জামানতের বিবরন, ফি প্রদানের রশিদ ইত্যাদি বিস্তারিত তথ্য এবং সাপোর্টিং ডকুমেন্টস্ সহ আবেদন করতে হবে।
ওমরা এজেন্সির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসাবে আই এ টি এ বা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন এর সদস্য সনদ থাকতে হবে।
আপনারা স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন কি ধরনের অপরাধ করলে কোন হজ্জ্ব ও ওমরা এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হতে পারে-
এবং কি ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধান রয়েছে তাও আপনারা স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন-
তবে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত নতুন করে হজ্জ্ব ও ওমরা লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত আছে বলে সরকারী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়।
পরবর্তীতে যখন আবার লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম চালু হবে তখন নির্ধারিত পদ্ধতিতে আবেদন করা যাবে।আপনারা চাইলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ঘুরে আসতে পারেন, আইন-কানুন বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও দেখতে https://www.youtube.com/sublimelegalbd। আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/sublimelegalbd এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, ইনশাল্লাহ দেখা হবে পরবর্তী আর্টিকেল অন্য কোন বিষয় নিয়ে, সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments