বাটোয়ারা দলিল | Partition deed | বন্টননামা দলিল | উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অবিভক্ত সম্পত্তির বন্টন

Header Ads Widget

Latest

6/recent/ticker-posts

বাটোয়ারা দলিল | Partition deed | বন্টননামা দলিল | উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অবিভক্ত সম্পত্তির বন্টন

 


বন্টন দলিল

মনে করুন বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর আপনারা ভাইবোনেরা নিজেদের উত্তরাধিকার সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে চান। সাধারণত আমাদের দেশে এ রকম ক্ষেত্রে মৌখিক সমঝোতার মধ্য দিয়ে ভাগ-বাটোয়ারা করেই অংশীদাররা সম্পত্তি ভোগ করে থাকেন। কিন্তু ভবিষ্যতে এই সম্পত্তির ভোগ দখল, বিক্রয় বা হস্তান্তর করা নিয়ে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে বাটোয়ারা দলিল সম্পাদন এই ধরণের জটিলতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আজকের এই ভিডিওতে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব, বাটোয়ারা বা বন্টননামা দলিল কি? কি ভাবে এই বন্টন করা যায়, এই দলিল প্রণয়নে কত টাকা খরচ হয়, রেজিষ্ট্রেশন ফি কত ইত্যাদি যাবতীয় বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে।

উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অবিভক্ত সম্পত্তি, যৌথ মালিকানাধিন সম্পত্তি, যৌথ পরিবারের ক্রয় করা সম্পত্তি ভোগ দখলের সুবিধার্থে অংশীদারদের মধ্যে ভাগ-বন্টন করার জন্য বন্টন নামা দলিল প্রনয়ণ করা হয়।

১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইনের ২(১৫) ধারায় বন্টন দলিলের সংজ্ঞায় বলা আছে- বন্টন দলিল অর্থ হল এমন কোন দলিল যার মাধ্যমে কোন সম্পত্তির সহ-মালিকগণ কোন নিদৃষ্ট সম্পত্তি ব্যক্তিগত মালিকানায় নেয় বা নিতে সম্মত হয়

উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত পারিবারিক সম্পত্তির ক্ষেত্রে সকল উত্তরাধিকারিরা যার যার অংশ ভাগ করে নিতে পারে আবার যদি কোন একজন চায় ভাগ করে নিতে এবং বাকীরা না চায় তাহলে ঐ একজন কে তার অংশ বুঝিয়ে দিয়ে বাকিরা যৌথ ভাবে ভোগ দখল করতে পারে।

প্রধানত দুই ভাবে বন্টন করা যায়-

১. আদালতের মাধ্যমে

২. স্থানীয় ভাবে বা পক্ষগণের দ্বারা

স্থানীয় বা পারিবারিক ভাবে বন্টনের আইনগত ভিত্তি শক্তিশালী না, এইকারনে আদালতের মাধ্যমে উত্তরাধিকার সম্পত্তি বন্টন করে নিলে জটিলতা অনেক কমে। এর জন্য সম্পত্তির সকল উত্তরাধিকারদের সাথে নিয়ে আদালতে বাটোয়ারা মাললা করতে হয়, ইংরেজিতে যাকে পার্টিশন স্যুট বলে। তবে পক্ষগণ একমত থাকলে নিজেরা-নিজেরা সমঝোতার মাধ্যমে ভাগ-বন্টন করে, একজন দলিল লেখক দ্বারা বন্টন নামা দলিল প্রস্তুত করে রেজিষ্টি অফিসে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে পারে। এক্ষেত্রে মামলার ঝামেলা এড়ানো সম্ভব, খরচ বাঁচবে এবং টাইম সেভ হবে।

বন্টনের শর্তাবলি

প্রথমে একজন ভালো সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করে সীমানা চিহ্নিত করতে হবে

অংশীদারদের কার কতটুকু বরাদ্দ এবং কোন অংশ থেকে বরাদ্দ তা সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে

সম্পত্তির এই বিভাজন প্রত্যেক অংশীদার কতৃক স্বীকৃত এবং স্বাক্ষরিত হতে হবে

বন্টননামা দলিলে যে সকল বিষয় উল্লেখ থাকা প্রয়োজন

বন্টন নামা দলিলে সম্পত্তির মালিকানা বা স্বত্ত কি ভাবে আসল, কেন বন্টন করা হচ্ছে, কি ভাবে ভাগ করা হয়েছে, অংশীদারদের তালিকা, কে কোন অংশ পাবে ইত্যাদি।

বন্টন নামা দলিলের মূল কপি কার কাছে থাকবে এবং অন্যান্ন অংশীদারদের প্রয়োজন হলে সে মূল দলিল টি উপস্থাপন করবে এই কথাগুলো দলিলের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করে দেওয়া উত্তম। চাইলে প্রতিলিপির স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে খরচ করে, দলিলের যতগুলো পক্ষ থাকেন, ততগুলো প্রতিলিপি নিবন্ধন করে নেওয়া যায়।

বন্টন নামা দলিলে সকল পক্ষকেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে, কোন মাইনর পারসোন থাকলে তার পক্ষে তার আইনগত অভিভাবক অংশগ্রহণ করতে পারে।

বাটোয়ারা মামলা করার পদ্ধতি

প্রথমেই আপনাকে সম্পত্তির মালিকানা সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কাগজপত্র, যেমন- মালিকানা দলিল, উত্তরাধিকার সনদ,ভূমী জরিপ খতিয়ান, মিউটেশন খতিয়ান ইত্যাদি নিয়ে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর কাছে যেতে হবে মামলা ফাইল করার জন্য। এই মামলার কোর্ট ফি সাধারণত ১০০ টাকা দিতে হয়। বাটোয়ারা মামলায় সাধারণত প্রত্যেক দাগের জমি সব সহ-শরিকের মধ্যে বণ্টিত হয়ে থাকে। এ ধরনের মামলায় দুইবার দুটি ডিক্রি হয়, যার প্রথমটির নাম প্রাথমিক ডিক্রি আর পরেরটার নাম চূড়ান্ত ডিক্রি। প্রাথমিক ডিক্রিতে হিস্যা অনুযায়ী বণ্টনের আদেশ দেয়া হয়। আর চূড়ান্ত ডিক্রিতে প্রয়োজনে আমিন কমিশন পাঠিয়ে সরেজমিনে সম্পত্তির দখল দেয়া হয় এবং সীমানা পিলার দ্বারা বিভাজন (জমির ভাগ) করার মাধ্যমে চূড়ান্ত ডিক্রি প্রচার করা হয়। আদালত প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করে সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করে ডিক্রিপ্রাপককে সম্পত্তির দখল দেয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন।

বাটোয়ারা দলিলের রেজিষ্ট্রেশন

উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির বাটোয়ারা দলিল এর রেজিষ্ট্রেশন ২০০৪ সাল থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। [১৯০৮ সালের রেজিষ্ট্রেশন আইনের ১৭(১) ধারা সংশোধন করে এই বিধান যোগ করা হয়] {screen writing pop-up}

এর আগ পর্যন্ত উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জিত সম্পত্তির বাটোয়ারা দলিল রেজিস্ট্রেশন পক্ষদের ইচ্ছাধীন ছিল। বণ্টননামা দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সরকার এই দলিলের ফি এবং স্ট্যাম্প শুল্ক নির্ধারণ করে দিয়েছে। ইতোপূর্বে বণ্টননামা দলিলের রেজিস্ট্রেশন ফি কবলা দলিলের সমপরিমাণ ছিল। এত উচ্চহারের ফি এবং স্ট্যাম্প শুল্ক পরিশোধ করতে হয় বলে বণ্টননামা দলিল রেজিস্ট্রেশনের পক্ষগণ তা নিবন্ধন করতে চাইত না।

দলিল লিখে রেডি করার খরচ

[১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইনের তফসিল-১ এর ৪৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী] বণ্টননামা দলিলে স্ট্যাম্প যুক্ত করতে হয়, বণ্টননামা দলিলের স্ট্যাম্প শুল্ক মূল্য বর্তমানে মাত্র বিশ টাকা। [মহামান্য রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের ১৪২ আদেশ অনুযায়ী] বণ্টননামার সঙ্গে হলফনামাও সংযুক্ত করতে হয়। হলফনামার স্ট্যাম্প শুল্ক পঞ্চাশ টাকা এবং শপথনামার রেজিস্ট্রেশন ফি ১০০ টাকা। এছাড়া কোনো দলিলের পৃষ্ঠা বেশি হলে অতিরিক্ত প্রতি পাতা পঁচিশ টাকা হারে ফিস বাড়তে পারে।

নিবন্ধন ফি

বণ্টননামা বা বাটোয়ারা দলিলের রেজিস্ট্রেশন ফি নিম্নরূপ_

(ক) সম্পত্তির মূল্য তিন লাখ টাকার নিচে হলে- ফি ৫০০ টাকা।

(খ) সম্পত্তির মূল্য তিন লাখ থেকে দশ লাখ টাকার মধ্যে হলে- ৭০০ টাকা।

(গ) সম্পত্তির মূল্য দশ লাখ থেকে ত্রিশ লাখ টাকার মধ্যে হলে- ১২০০ টাকা।

(ঘ) সম্পত্তির মূল্য ত্রিশ লাখ থেকে পঞ্চাশ লাখ টাকার মধ্যে হলে- ১৮০০ টাকা।

(ঙ) সম্পত্তির মূল্য পঞ্চাশ লাখের বেশি হলে ফি দিতে হবে-  ২০০০ টাকা।

যেভাবেই সম্পত্তির বন্টন করা হোক না কেন, বন্টন দলিলের রেজিষ্ট্রেশন হয়ে যাওয়ার পর প্রত্যেক মালিককে নিজ নিজ নামে যার যার সম্পত্তির নামজারি করতে হবে এবং ভূমী উন্নয়ন কর সহ সরকারী খাজনা পরিশোধ করতে হবে।


Post a Comment

1 Comments

  1. Track the worldwide market efficiency of the luxurious sector in China. With present information updates, share prices, and inventory market information based mostly on Chinese consumer curiosity, this index displays the general health within the market. For younger Koreans, shopping for a house isn’t “just a part of|part of} the plan, it’s a must,” says Jon Sung, a 34-year-old South Korean working within the financial providers trade. “It’s a kind of ultimate aim in our lives.” Korean society considers homeownership a prerequisite for marriage and beginning a 바카라사이트 household, and a necessity for a cushty retirement, Sung says. The Asian Poker Tour was founded in 2008 and after a string of successful tournaments, the APT seeks to continue positioning itself because the premier poker tournament in Asia. Its rising reputation as a highly revered poker tour is a testomony to its aim of bringing world-class poker expertise in Asia.

    ReplyDelete